‘নথি গায়েবে’র কারণে অবৈধ প্লটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না রাজউক

 

 

রাজউক‘নথি গায়েব’ হওয়ার কারণে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের কিছু অবৈধ প্লটের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোন কোন প্লটের নথি গায়েব হয়েছে, তার তালিকা রাজউকের পক্ষে থেকে কমিটিকে সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এছাড়া বৈঠকে রাজউকের বিভিন্ন অনিয়ম ও অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, হাবিবর রহমান, আবদুর রউফ ও নাভানা আক্তার অংশ নেন।

কমিটির সভাপতি শওকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাজউকের কিছু ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সংসদীয় কমিটির এক সদস্য বলেন, বৈঠকে ফাইল গায়েব হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে গুলশান এলাকার অবৈধ প্লট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালে সংসদে তৎকালীন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান রাজউকের নথি গায়েবের কথা স্বীকার করেছিলেন।

এদিকে ২০১৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন রাজউকের কাছে শতাধিক বহুতল ভবনের নথি চাইলেও গায়েব হওয়ার কারণে তা সরবরাহ করতে পারেনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাটি।

কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, রাজউকের এক হাজার ৬২৬টি অডিট আপত্তি রয়েছে। যার সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ আট হাজার ৫২৫ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর এই অডিট আপত্তির মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৯৭টি। যার মধ্যে গত পাঁচ বছরে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র আটটি অডিট আপত্তি।

বুধবার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভবিষ্যতে যেন অডিট আপত্তির মতো ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেতন হওয়াসহ  মন্ত্রণালয়ের আপত্তিগুলো আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী অবলোপন করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।

/ইএইচএস/এমএনএইচ/