রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের আরও সোচ্চার হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের আরও সোচ্চার হওয়া উচিত। এসব ঘটনা কারা করছে, তা নিয়েও তাদের আরও সচেতন হতে হবে।’ শনিবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হাঙ্গেরি সফর নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা, বিমানের জরুরি অবতরণ, মধ্যবর্তী নির্বাচন, তিস্তার পানির হিস্যা, সংসদ ভবনের মূল নকশাসহ নানা বিষয় উঠে আসে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রায় সব প্রশ্নেরই উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ অসহায় হয়ে পড়লে তাদের আশ্রয় না দিয়ে উপায় থাকে না। এটা বাস্তবতা।’  রোহিঙ্গা হত্যা বিষয়ে  তিনি বলেন, ‘এটা সে দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। তবু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে দেশের কুটনীতিককে ডেকে কথা বলা হয়েছে। আমাদের বর্ডার গার্ডকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা সতর্ক অবস্থায় আছে।’

লু আই কানের আঁকা নকশা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্থাপত্য শিল্পে এই নকশা একটি ইউনিক শিল্প। আমাদের যারা স্থাপত্য বিদ্যায় পড়াশোনা করেন, তাদের কাছে এই নকশা একটি শেখার বিষয়। বিশ্বব্যাপী লু কানের যেসব শিল্পকর্ম আছে, তার মধ্যে এই নকশাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষণীয়। যারা সংসদ সচিবালয় ভিজিট করতে আসেন, তারা এই শিল্পকর্ম সম্পর্কে দেখতে চায়, জানতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘এই নকশা আনা হয়েছে এ জায়গাটাকে আরও সুন্দর করার জন্য।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনও কমেন্ট করতে চাই না। তবে কিভাবে এ স্থাপত্য আরও সুন্দর করা যায়, সে কারণেই নকশা নিয়ে আসা হয়েছে।’

সংসদ ভবন এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নকশা বহির্ভূত বলে একটি আলোচনা থাকলেও এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন স্টোর যেখানে আছে, মূল নকশায় সেখানটায় একটি পাবলিক অডিটোরিয়ামের জায়গা ছিল। সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের বাড়ি যেখানে আছে, সেখানে মূল নকশায় ডি-১, ডি-২ স্পিকারের বাসভবনের জন্য নির্ধারিত ছিল।’

বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেনের অনুষ্ঠান প্রতিবেশী দেশ ভারতে সম্প্রচারে আর ভারতের চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচারে ভীষণ বৈষম্য রয়েছে—এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সম্প্রচার করতে নিতে চায় না, আমরা কেন হুমড়ি খেয়ে পড়ি? এ ব্যাপারটি আমি ভালো বুঝি না। ক্যাবল ব্যবসা করি না, তাই ভালো বুঝি না। এ ব্যাপারে আমার ডিটেইল জানা ছিল না। যে যত চায়, বলেছি তাকে অনুমতি দিয়ে দিতে। আর কিছু না হোক মানুষের কর্মসংস্থান তো হবে।’

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের মন্ত্রী এসেছেন, সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা হবেই। এছাড়া আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছি। বিনিময় থাকবে, সব দেশের সঙ্গেই থাকে।’

/পিএইচসি/এমএনএইচ/