বিচারকদের আচরণবিধির গেজেট প্রণয়নে ফের সময় বাড়লো

হাইকোর্টনিম্ন আদালতে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধির গেজেট প্রণয়নে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট আদালতে জমা দেওয়া পূর্ব নির্ধারিত তারিখ থাকলেও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় আবেদন করেন। আগেও সময় আবেদন করায় কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

রবিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গেজেট জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন।

মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে যায় বিচার বিভাগ। ওই সময় নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির একটি খসড়া মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে দাখিল করা হয়। খসড়াটির সঙ্গে ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু মিল থাকায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী রায় দেন আপিল বিভাগ। ওই রায় ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ২৮ আগাস্ট। রায় ঘোষণার পর ওই খসড়া সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান সুপ্রিম কোর্ট।

একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু ৬ নভেম্বর মামলাটি শুনানির তারিখে আদালতকে কোনও অগ্রগতি জানাতে পারেননি অ্যাটর্নি জেনারেল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত বিধিমালা চূড়ান্তের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা লিখিতভাবে জানানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

গত ৭ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাইলে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা গেজেট আকারে জারি করে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই তারিখেও সরকার বিধিমালা জমা না দিয়ে আরও দুই দফা সময় নেয়। গত ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আপিল বিভাগ নির্দেশ দিলে তিনদিন পর রবিবার পরিপত্র জারি করে সরকার। এতে বলা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রস্তাবিত আচরণ ও শৃঙ্খলাবিধির খসড়া গেজেট আকারে প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই।

/ইউআই/এসএনএইচ/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 


যেভাবে তামিমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল রাজীব গান্ধীর