র‌্যাবের যেসব সদস্য সাজা পেলেন

র‌্যাবের লোগো

সাত খুন মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১৪ জন র‌্যাব সদস্য। বাকি ৯ আসামিকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। এর মধ্যে ছয় জন র‌্যাব সদস্য। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর আদালত রায় ঘোষণা করেন।   

সাত খুন মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতার রয়েছে ২৩ জন। এর মধ্যে ১৭ জনই র‍্যাবের সদস্য। তারা হলেন, র‌্যাবের তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা (এমএম রানা), হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত র‌্যাব সদস্যরা হলেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা (এমএম রানা), হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো: শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দ বালা, করপোরাল মো. মোখলেছুর রহমান, র‌্যাবের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী।

আর করপোরাল রুহুল আমিনের ১০ বছর, এএসআই বজলুর রহমানের ৭ বছর, হাবিলদার নাসির উদ্দিন ৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদের ১০ বছর,  সৈনিক নুরুজ্জামানের ১০ বছর,  কনস্টেবল বাবুল হাসানের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ২৮ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান করে ৬জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় আরও একটি মামলা করেন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।  পরে স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করেন।

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে চার্জ গঠন করেন। পলাতক ১২ জনসহ সাত খুনের দুটি মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ জনের সবার বিরুদ্ধেই চার্জগঠন করা হয়। ১২ জনের অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন:

সাত খুন মামলার রায়: কেউ খুশি, কেউ বেজার

এজলাসে গম্ভীর নূর হোসেন, কাঁদছিলেন তারেক সাঈদ

মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো যাদের

সাত খুনের চার্জশিট: যেভাবে নেওয়া হয় হত্যার প্রস্তুতি

না.গঞ্জের ৭ খুন মামলার রায় আজ

নূর হোসেনের সহযোগীরা এখনও সক্রিয়!

৭ খুন মামলা চলাকালে আলোচিত কিছু ঘটনা

/এফএস/এসটি/