'সেলিম ওসমানের নির্দেশেই শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনা'

শ্যামল কান্তি ভক্ত (বামে), সেলিম ওসমাননারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশেই পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে সব নথি ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন রবিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে তারা এই আদেশ দেন। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে মামলার আইনজীবী এম কে রহমান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান।

গত বছর ১৩ মে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ রটিয়ে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যাণদি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সবার সামনে কান ধরে উঠ-বস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ নেতা সেলিম ওসমান। এই ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কিনা, সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

/ইউআই/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 


ঢাকা মেডিক্যালে ধর্ষণ: অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের চেনেন না তদন্ত কর্মকর্তা!