জাবিতে বহিষ্কৃত যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনটি পৃথক ঘটনায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজনের ছাত্রত্ব বাতিলসহ আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এক ছাত্রলীগ কর্মীকে দুই ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বলের দায়ে আরও তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিন বোর্ড শাস্তির সুপারিশ করলে সিন্ডিকেট তা কার্যকর করা হয়।

জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি জালিয়াতির চেষ্টার অভিযোগে আফম কামালউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক এস এম শরীফ আহমেদ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৪২ ব্যাচ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী মো. নাজমুল হুদাকে (গণিত, ৪২ ব্যাচ) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কার থাকাকালীন ওই দুজন যাতে হলে অবস্থান এবং ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারে সেজন্য প্রশাসন, বিভাগ ও পরীক্ষা অফিসকে সজাগ থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

গত ১০ জানুয়ারি সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও বটতলায় মওলানা ভাসানী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনায় ১০ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জাহিদ হাসান শিহাব (দর্শন, ৪২ ব্যাচ), সাইদুল (অর্থনীতি, ৪০ ব্যাচ), মো. মিজানুর রহমান (প্রত্নতত্ত্ব, ৪১ ব্যাচ), ইসতিয়াক আহমেদ চৌধুরী (প্রাণিবিদ্যা, ৪২ ব্যাচ), দিবেন্দু বিশ্বাস দ্বীপ (গণিত, ৪২), মো. নাজমুল হুদা (গণিত, ৪২ ব্যাচ), মওলানা ভাসানী হলের জহুরুল হক (অর্থনীতি, ৪৫ ব্যাচ), এস এম ইনামুজ্জামান শুভ (অর্থনীতি, ৪৫ ব্যাচ) ও আশিকুর রহমান (অর্থনীতি, ৪৫ ব্যাচ), আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের মো. ইয়াছিন (ভূগোল ও পরিবেশ, ৪২ ব্যাচ)। এর মধ্যে ইয়াছিন কামালউদ্দীন হলের শিক্ষার্থী হলেও সে অবৈধভাবে বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করতো।

এ ঘটনা অধিকতর তদন্তের জন্য বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট এস এম বদিয়ার রহমানকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের দায়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ ব্যাচের মো. জাহিদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ছাত্রত্বও বাতিল করা হয়েছে।  

/এফএস/

আরও পড়ুন- 


ভূমিহীনদের ফাঁসিয়ে ঋণ তুলে ফেরারি আ.লীগের দুই নেতা!