প্রসঙ্গত, রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শজিমেকের মেডিসিন বিভাগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধরে রোগী আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে পাশা গুরুতর আহত হন। তার ভাই মাসুম এবং দুই বোন বীনা আর সেতুকেও লাঞ্ছিত করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে শজিমেক হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদার করাসহ সাত দফা দাবি আদায়ে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করে। তবে দুপুরে তারা স্থগিত করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে রবিবার ও সোমবার শজিমেক হাসপাতালে সব বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। মূলত এ কারণেই ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে আরও বলেন, ‘রোগীদের জিম্মি করে বা তাদের কোনও ধরনের ভোগান্তি হয় এমন কোনও কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগেও একাধিকবার বলেছেন। এবারও তিনি আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন।’
আরও পড়ুন—
শজিমেক হাসপাতালে গুলিতে আতঙ্ক, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
শজিমেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনের ওপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হামলা
/জেএ/জেএইচ/