রাজধানীতে দিনব্যাপী ‘বর্ণমেলা’য় ছিল বাংলা বর্ণমালা নিয়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, নাগরদোলা, পুতুল খেলা, সিসিমপুর, বর্ণ দিয়ে নকশা, বর্ণ ক্যানভাস প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন।
সকাল ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান দিয়ে উদ্বোধন করা হয় সাংস্কৃতিক পর্বের। ফরিদা পারভীন, অদিতি মহসীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক প্রিয়াংকা গোপ ছাড়াও এই পর্বে গান পরিবেশন করেন সুরের ধারার শিল্পীরা।
ঢাবি শিক্ষক ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী প্রিয়াংকা গোপসহ অন্যান্য শিল্পীরা বললেন, ‘বর্ণমেলার এই আয়োজন ভাষাকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আয়োজন। আমরা আশা করি, এমন আয়োজন সারাদেশের সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাক। আমরা চাই, সব মানুষের অংশগ্রহণে সফল হয়ে উঠুক বর্ণমেলার এই আয়োজন।’
‘বর্ণমেলা’র সাংস্কৃতিক পর্বে একের পর এক অংশ নেয় ভিকারুননেসা নুন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল ও কলেজে, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাড়ে তিন বছরের শিশু অনিলাকে নিয়ে ‘বর্ণমেলা’য় এসেছেন মা নাদিয়া ইয়াসমিন। তিনি জানালেন, অনিলাকে হাতেখড়ি দিতেই নিয়ে এসেছেন এই আয়োজনে। পল্লবীর শিশু ফাইজ-ও মেলায় বাবার সঙ্গে এসেছে হাতেখড়ি নিতেই। মোহাম্মদপুর থেকে আসা শিশু জয়া ও জারা আবার বর্ণমেলার নানা ধরনের খেলায় অংশ নেবে বলে জানালো।
এমন কয়েকশ শিশু ও তাদের অভিভাবকদের মিলনমেলায় পরিণত হওয়া ‘বর্ণমেলা’ শেষ পর্যন্ত ভাষার গৌরবগাঁথাকেই আবারও তুলে ধরেছে সবার সামনে।
আরও পড়ুন-
বিশ্বের সব ভাষার সংগ্রহশালা মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
ভাষার দিনে ‘কোমল কূটনীতি’তে কলম্বো জয়
/এসএমএ/টিআর/