গ্যাসের মূল্য: আবাসিক-বাণিজ্যিকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি

 

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির তুলনামূলক সারণীআবারও জ্বালানির গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এবার আট শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান এসব শ্রেণির অভিন্ন মূল্য বৃদ্ধির হার ২২.৭ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু হিসেব করে দেখা গেছে, ছয় শ্রেণির বৃদ্ধির হারের চাইতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকদের বেলায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে অনেক বেশি।

বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী আবাসিকের মিটারভিত্তিক প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়বে ৪.২ টাকা। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটারের দাম নেওয়া হচ্ছে ৭ টাকা। আগামী ১ জুন থেকে এ দাম হবে ১১.২০ টাকা। এ খাতে বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশ।

আবাসিকে এক চুলায় ব্যবহৃত গ্যাসের বর্তমান দাম ৬০০ টাকা, আগামী জুন থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে হবে ৯০০ টাকা। এ খাতে বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশ। ডাবল বার্নার বা চুলার বর্তমান মূল্য ৬৫০ টাকা। জুনে এই ডাবল বার্নারের মূল্য ৩০০ টাকা বেড়ে হবে ৯৫০ টাকা। এখানে বৃদ্ধির হার ৪৬.১৫ শতাংশ।

বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত গ্যাসের বর্তমান প্রতি ঘনমিটারের দাম ১১.৩৬ টাকা। জুন থেকে হবে ১৭.০৪ টাকা। এখাতে বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশ।

অন্যসব শ্রেণিতে বৃদ্ধির হার হল, বিদ্যুৎ খাতে ১২.০৫ শতাংশ, ক্যাপটিভ পাওয়ার খাতে ১৫.০৭ শতাংশ, সার কারখানায় ৫.০৩ শতাংশ, শিল্পখাতে ১৫.১৩ শতাংশ, চা বাগানে ১৫.০৩ শতাংশ ও সিএনজি স্টেশনে ১৪.২৪ শতাংশ।

বিইআরসি জানিয়েছে, এবার দুই ধাপে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে। প্রথম ধাপটি হবে ১ মার্চ থেকে এবং দ্বিতীয় ধাপ হবে ১ জুন থেকে। সমানহারে দুই ধাপে এ মূল্য বৃদ্ধি হবে।

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, গত বছর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো জ্বালানি গ্যাসের মূল্য ৯৪.৯ শতাংশ বৃদ্ধির আবেদন করেছিল। আমরা অনেক পর্যালোচনা করে ২২.৭ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষের পকেটে যাতে চাপ না আসে মূলত এ জন্যই দুই ধাপে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 আরও পড়ুন: গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়বে জনজীবনে

/এমএনএইচ/