গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক দেশগুলোকে অগ্রাধিকার

১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যা ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেওয়া রাষ্ট্রগুলোর কাছে সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ। এটাকেই এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। দেশগুলোর পার্লামেন্ট বা আইনসভায় যেন বিষয়টি সমর্থন পায় সেদিকে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোস্টগার্ড জাহাজ তাজউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘ ২০১৫ সাল থেকে ৯ ডিসেম্বর গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। তাই ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দিকে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি।’
গত ১১ মার্চ সরকারের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য শিরীন আখতার ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করার বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হোক।’
সোমবার (২০ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রতি বছরের ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হবে বলে অনুমোদিত হয়। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সময় খুব কম থাকলেও এবারের ২৫ মার্চ যেন বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য মিশনগুলোতে যতটা সম্ভব তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে মুক্তিযুদ্ধে যেসব দেশ আমাদের সমর্থন দিয়েছিল, সেগুলোর পার্লামেন্ট বা আইনসভায় ২৫ মার্চকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করা। আশা করি, বন্ধু দেশগুলো আমাদের পাশে থাকবে। তাদের সমর্থন পেলে অন্য দেশগুলোকেও বিষয়টি নিয়ে সংবেদনশীল করা সহজ হবে।’

যদিও শাহরিয়ার আলমের আশঙ্কা— ‘কোনও কোনও দেশের বিরোধীতার কারণে ২৫ মার্চকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এজন্য পৃথক পৃথকভাবে সব দেশের স্বীকৃতি আদায় করতে হবে আমাদের।’

/এসএসজেড/জেএইচ/