বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭.১ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। মাথাপিচু হার, দারিদ্রের হার, সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বেড়েছে।’
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসলে বাজেটের পরিমান বাড়ে, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হয়। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্য বিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পালন করবো মাথা উচু করে, সম্মানের সাথে, আত্মমর্যাদার সঙ্গে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমাদের এখন আর কারও মুখাপেক্ষি হতে হয় না। কারণ ৯০ ভাগই উন্নয়ন প্রকল্পই নিজস্ব অর্থায়নে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। আগামী দিনে যারা দেশের জন্য কাজ করবে আমি আশা করছি তারা আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দরিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।’
স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭-এর পদকপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গ্রুপ ক্যাপ্টেন অব. শামসুল আলম বীর উত্তম, আশরাফুল আলম, শহীদ মো. নজমুল হক, মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী, শহীদ এন এম নাজমুল আহসান, শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এছাড়া চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, সাহিত্যে রাবেয়া খাতুন ও মরহুম গোলাম সামদানী কোরায়শী। সংস্কৃতিতে অধ্যাপক এনামুল হক ও ওস্তাদ বজলুর রহমান বাদল। সমাজসেবায় খলিল কাজী ওবিই, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে শামসুজ্জামান খান ও অধ্যাপক ললিত মোহন নাথ (প্রয়াত)এবং জনপ্রশাসনে অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে।
/এসএনএইচ/