বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সংলাপ: ঢাকায় ভিসা মূল্যায়নের আহ্বান জানাবে সরকার

 

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যযুক্তরাজ্যে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা ভিসা আবেদন ঢাকায় করলেও এর মূল্যায়ন হচ্ছে ভারতে। এর ফলে বাড়ছে জটিলতা। অনেকের অভিযোগ, ভারতে মূল্যায়ন করার কারণে অনেক ভিসা পাওয়ার যোগ্যদেরও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থায় ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের প্রথম ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপে’ ভিসা মূল্যায়ন প্রক্রিয়া আবারও বাংলাদেশে ফেরত আনার আহ্বান জানাবে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, তারা সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কৌশলগত সংলাপে বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করব, যেন ভারতে ভিসা আবেদন মূল্যায়ন না করে আগের মতোই বাংলাদেশে করা হয়।’

২০১৪ সাল থেকে ভিসা মূল্যায়ন ভারতে করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে একটি পিটিশনে ১১ হাজার বাংলাদেশি স্বাক্ষর করে কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি।

প্রথম ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপে’ অংশ নিতে আগামী সোমবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশে আসবেন। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে মঙ্গলবার। এ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ প্রতিবছর আয়োজনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হবে।

এবারের সংলাপে ব্রেক্সিট, বিমানবন্দর নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বিষয়। এছাড়া ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা নিয়েও বাংলাদেশ আলাপ করতে চায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবে। এর ফলে বাংলাদেশ অভিন্ন ইইউ বাজারে যে সুবিধা পেয়ে থাকে, সেই একই সুবিধা যুক্তরাজ্যের বাজারেও  চায়।’

বাংলাদেশ থেকে কার্গো পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি ব্রিটিশ সংস্থাকে এর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থারও অনেক উন্নতি হয়। এ প্রসঙ্গে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বাংলাদেশ জোরালোভাবে তুলে ধরবে। কারণ এর অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে।’

সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ এবং সামরিক সহযোগিতা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ফেরত আনার বিষয়টি আলোচনা করতে চায় যুক্তরাজ্য।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাজ্য দাবি করে, সেখানে ২০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করে কিন্তু তাদের তালিকা দেয় না। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। তা হলো বাংলাদেশি হিসেবে প্রমাণিত হলে অবৈধদের আমরা ফেরত নিয়ে আসব।’

/এমএনএইচ/