সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, উত্তরা মডেল টাউনের ৪ নম্বর সড়কটি বিমানবন্দর সড়কের সংযোগস্থলে এসে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল। পেছনের দিকে ৩০ ফুট প্রশস্ত থাকলেও সংযোগস্থলের ১/এ নম্বর প্লটের সামনে সড়কটির প্রস্থ ছিল ২০ ফুট। এ কারণে সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল।
এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়। ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর শফিক হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেন তাদের মালিকানাধীন ১/এ প্লট থেকে সড়ক প্রশস্ত করতে প্রয়োজনীয় জমি (১০ ফুট প্রস্থ ও ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য বা দশমিক ৬৭ কাঠা) ছেড়ে দিতে রাজি হন। এর ফলে ৪ নম্বর সড়ক প্রশস্ত করতে আর কোনও বাধা নেই।
সোমবার সকালে ওই জমির সামনেই দুই ভাইকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মূল্যবান জমি ছেড়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা শফিক হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেনের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, বিশেষত সড়ক উন্নয়নে সহায়তা করতে উদার মনের মানুষরা জমি দান করছেন। তাই কোনও জায়গা জবরদখল করে রাখা আর কারও পক্ষে সম্ভব হবে না।’ এ প্রসঙ্গে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের শাহজালাল অ্যাভিনিউ সংলগ্ন সরকার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান স্থানান্তরের মাধ্যমে সেই জমি দানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান, নারী কাউন্সিলর শাহনাজ পারভিন, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরতুল্লাহ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শরিফ উদ্দিন, অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।
ওএফ/এএআর/