সাংবাদিক আফতাব হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

সাংবাদিক আফতাব আহমেদ

প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এ মামলার আরেক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার চার নম্বর দ্রুত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান লিখন এ তথ্য জানিয়েছেন। 
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসিমরা হলেন- হুমায়ুন কবীর মোল্লা, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সী ও মো. রাসেল। এর মধ্যে রাজু মুন্সী ও রাসেল পলাতক রয়েছেন। এ মামলার আরেক আসামি সবুজ খানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ মামালার সর্বমোট আসামি ছিল সাতজন। এর মধ্যে মো. নিজাম নামের একজন আসামির সম্পূর্ণ ঠিকানা ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার অভিযোগপত্র থেকে নিজামকে অব্যাহতি আবদেন করেন।
অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নিজামের সম্পূর্ণ নাম এবং ঠিকানা উদঘাটন করা সম্ভব হলে তার বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের কথা উল্লেখ থাকলেও অদ্যাবধি তদন্তকারী কর্মকর্তা এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন, এ মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে এই নিজামের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পলাতক আসামি নিজামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারার অভিযোগে অপরাধ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নিজামের নাম ঠিকানা উদঘাটন পূর্বক তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই রায়ের অনুলিপি মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর পাঠানো হোক।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরা থানার ওয়াপদা রোডে নিজ বাসায় ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার শ্যালক রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ র্যা ব-৩ এর উপপরিদর্শক মো. আশিক ইকবার ছয় আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সারের ২৪ জুলাই ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযাগ গঠন করা হয়। এ পর্যন্ত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন আফতাব আহমেদ। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
/এসআইটি/এআর/এসটি/