প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টে যে স্ট্যাচু করা হয়েছে, এটি হচ্ছে গ্রিক গডেজ অব জাস্টিস। আর যেখানে স্থাপন করা হলো, তার পাশে ঈদগাহ। আমাদের ঈদের নামাজ হয়, ঠিক সেই ময়দানের সামনে এসে পড়ে এটি। এজন্য প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, এটিকে যেন আড়াল করে দেওয়া হয় অথবা সরিয়ে ফেলা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গ্রিক স্ট্যাচুকে শাড়ি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলো। এটা যদি গ্রিক স্ট্যাচু হয়ে থাকে, তাহলে সেই গ্রিক স্ট্যাচু হিসেবে থাকবে। এটাকে শাড়ি পরিয়ে বিকৃত করা কেন? নিজে কত লম্বা, তার পাল্লাটা কত লম্বা! তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই। একটা করে দিলো! মানে গ্রিককে এখন বাঙালি বানানো হলো। এ ধরনের স্ট্যাচু আমার নিজেরও পছন্দ নয় সেটা বলেছি।’
ভাস্কর্য সরানোর বিরোধিতাকারীদের জবাব দিতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এটা সরাতে হবে কেন, এটি নিয়ে চিৎকার করা হচ্ছে। কিন্তু যারা এটা নিয়ে কথা বলছেন, তারা কি দেখতে পারছেন না, এই গ্রিক থিম আর এখন গ্রিক নেই। ওটা অর্ধগ্রিক, অর্ধবঙ্গ। ওটা বঙ্গগ্রিক হয়ে গেছে। এটা কি উনাদের চোখে পড়ে না? এটা তো উনাদের চোখে পড়া উচিত। যে কোনও থিম যখন থাকবে, তা বাস্তবভাবেই থাকা উচিত। আর এটা করার আগে প্রধান বিচারপতির আলোচনা করা উচিত ছিল। কোথায় এটা বসবে সেটাও দেখা উচিত ছিল। যেখানে ঈদের নামাজ হয়, সেখানে এটা করা হয়েছে। অনেকের কাছে তো এটা ভালো লাগবে না। নামাজের সময় ওটা চোখের সামনে পড়বে।’
/ইএইচএস/এমপি/