ওই বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশেষ জারি করা ডিক্রিতে অন্যান্য বিদেশি কর্মীর মতো বাংলাদেশি কর্মীর ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য হবে। কর্মী নিয়োগকর্তা ভিসা পাওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ করা কর্মীর স্বাক্ষরসহ স্ট্যান্ডার্ড এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্ট এর আওতায় তারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পবেন।’
বাংলাদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও এসব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বাস দেন সাকর গোবাশ সাঈদ গোবাশ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জনানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী আরও বেশি নেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রীকে বৈঠকে অনুরোধ জানান। বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরও কর্মী পাঠানো এবং তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদলসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের শুরুতে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে একযোগে কাজ করছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামগুলোতে সক্রিয়ভাবে সুষ্ঠু ও নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ইস্যুতে ভূমিকা রাখছে। এতে কর্মীদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষা হচ্ছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও সেদেশে আরও কর্মী পাঠাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়ে সন্তুষ্টু। এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় বিবেচনা রয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার আরও উন্মুক্ত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ শিগগিরই উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির নির্ধারিত সভা ঢাকায় করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন আরব আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখের বেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ২৩ হাজারের বেশি নারী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার উন্মক্ত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়েছে।
/সিএ/এসএমএ/