মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মতো মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা হলে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান আরও উন্নত হতো। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া প্রদানেরও দাবি করেন তিনি।
সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করার লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত জাতীয়করণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়।
এছাড়া ২৬ জুলাই সারা দেশে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করবেন শিক্ষকরা। ৩১ জুলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে। ১ থেকে ২০ আগস্ট জাতীয়করণের পক্ষে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ এবং ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংগৃহীত স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম নুরুন্নাহার, সাংস্কৃতি সম্পাদক হেনা রাণী রায়, দফতর সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম প্রমুখ।
/আরএআর/এমপি/