‘সীমান্তে দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে’

Bgb program (2)

সীমান্তে দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর  মহাপরিচালক মেজর জেনারের আবুল হোসেন। সোমবার বিজিবির বর্ডার সার্ভিলেন্স সিস্টেম (সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা) ও পরিমার্জিত ওয়েব পেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  

রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।

বর্ডার সার্ভিলেন্স সিস্টেম আমাদের কী কাজে লাগবে-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কাজে গতি আনতে পারবো। এছাড়া মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও বাড়ানো যাবে। এ সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে সীমান্তে দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে পারবো। এর মাধ্যমে সারাদেশে সীমান্তে কী হচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণও করা যাবে।’

Bgb program

তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ফিজিক্যালি গার্ড করা কঠিন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবো। এটা সীমান্ত অপরাধ কমাতে সাহায্য করবে।’

২০৪১ সালের বিজিবি ভিশন সম্পর্কে তিনি বলেন,  ‘২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে পরিণত  হবো। উন্নত দেশের বর্ডার ম্যানেজমেন্টে যা যা থাকে সেটা যাতে আমরা করতে পারি তা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। উন্নত দেশের সীমান্তে সার্কুলার রোড থাকে। যে রাস্তা ব্যবহার করে যে কোনও বিষয়ে খুব দ্রুত রেসপনস করা যায়। আশা করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে এ সার্কুলার রোড করা সম্ভব হবে।’

মাদক ও অস্ত্র চোরাচালন ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘সব সীমান্ত দিয়ে তো অস্ত্র ও মাদক আসে না। যেগুলো দিয়ে আসে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। ওইসব জায়গায় ডিজিটাল সার্ভিলেন্স ইকুইপমেন্টগুলো বসানো হবে। সীমান্তে বর্তমানে ৮ হাজার বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এটা যাতে ১৫ হাজারে উন্নীত করা যায় সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

মিয়ানমার সীমান্ত আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করতে আরও একটি আলাদা একটা রিজিয়ন বা অঞ্চল করা হবে বলেও বিজিবির মহাপরিচালক জানিয়েছেন। বর্তমানে চারটি রিজিয়ন আছে। নতুন অঞ্চলের নাম হবে ‘রামু রিজিয়ন’।

/জেইউ/এসটি/