সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেলা ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানে। তবে ঝড়ের তীব্রতা আর না বাড়লে এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোরা’র প্রভাবে ভোরে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার। তবে এ ঘূর্ণিঝড়টি বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিবেগে আঘাত হানছে। মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
সামসুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা সিলেট হয়ে ভারতের মণিপুরে গিয়ে শেষ হবে। তবে সিলেটে ঝড় বা বাতাস না হলেও হালকা বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন:
কক্সবাজার অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’
উপকূলের আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ৩০ গ্রাম প্লাবিত
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত
চট্টগ্রামের ৭ উপজেলায় ৭৫ হাজার মানুষের আশ্রয় গ্রহণ
অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’
কক্সবাজার থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’
বেলা ১১টার মধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে ‘মোরা’
/সিএ/এসএনএইচ/