মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ঐশীর যাবজ্জীবন

04-06-17-Oishi Rahman_Police Murder Case-1

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান দম্পতি হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ঐশী রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত  হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে গত ৭ মে এ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে ওই দম্পতির মেয়ে ঐশীকে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

ওই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে খালাস পেয়েছেন মামলার অন্য আসামি ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি।

আদালতে ঐশীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম।

এর আগে গত ১২ মার্চ ঐশীর আপিল ও ডেথ রেফারেন্স এর শুনানি শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর ঐশীর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন ঐশী।

ঐশীকে দেওয়া ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ এর রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস।

এই মামলার আপিল শুনানিকালে ঐশীর আইনজীবী জানান, ঘটনার সময় ঐশী মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। সে বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে আদালত মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঐশীকে ১০ এপ্রিল  হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 /ইউআই/এসটি/