ভারতের সঙ্গে আরও দু’টি রেল রুট চালু করবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মালামাল ও যাত্রী পরিবহনের জন্য আরও দু’টি নতুন রেল রুট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র ও রেল মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেল রুট চালু (ফাইল ছবি)রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনওয়ারুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের কয়েকটি রুট চালু করা ছাড়াও আরও দুটি নতুন রুট চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুট আগে ছিল এবং এটিকে আমরা আবার পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ডিটেইলড প্রজেক্ট প্রোফর্মা (ডিপিপি) তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প। এ প্রকল্পে আমাদের দিকে ১০ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরি এবং ভারতের দিকে সাত কিলোমিটার রেল রাস্তা তৈরি করতে হবে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৯ সাল নাগাদ এটি চালু হবে।’

তিনি আরও জানান, এছাড়া আখাউড়া-আগরতলা নতুন রেল রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এর ডিপিপি ৪৭৭ কোটি টাকা। এতে বাংলাদেশের দিকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে হবে। আশা করা যাচ্ছে ২০১৮ সালে এটা চালু হবে। এছাড়া কুলাউড়া-শাহজাদপুর রুটটি পুরোনো এবং এটি চালু করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নতুন রুট ফেনী-বিলোনিয়া রেলরাস্তা তৈরি করার জন্য গবেষণা চলছে এবং এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘উপমহাদেশের রেল নেটওয়ার্ক ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি করা হয়েছে এবং সে সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ রুট ছিল। ১৯৬৫ সালের পর থেকে এগুলো অব্যবহৃত থেকে যায় কিন্তু এর মধ্যে চারটি রুট চালু করা হয়েছে। চালু করা রুটগুৎলো হচ্ছে, বেনাপোল-পেট্রাপোল, দর্শনা-গেদে, রোহানপুর-সিঙ্গাবাদ ও বিরল-রাধিকাপুর।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে বিরল-রাধিকাপুর রুট গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ে উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া দর্শনা-গেদে রুট দিয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবাহিত হয় এবং ১৪ এপ্রিল ২০০৮ থেকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে।’

/এমও/