পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হযেছে। ফেসবুকে এখন এটি শোভা পাচ্ছে অনেকের প্রোফাইলে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে এই ছবি ব্যবহারের কারণে বিপাকে পড়তে হয় বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমনকে। তার বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদ জানানোর অংশ হিসেবেই ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে এটিকে নির্বাচন করেছেন অনেকে।
ফেসবুকে মোরশেদ খান পাভেল লিখেছেন, ‘জাতির পিতার জন্মদিনে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পরম মমতায় ছবিটি এঁকেছে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া অদ্রিজা কর। ছবিটি ভালোভাবে দেখুন। এত সুন্দর ছবি ছোট একটা বাচ্চা এঁকেছে। শিল্পমনা যে কোনও মানুষেরই এটি দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথা। এই ছবি স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহার কি এমন অপরাধ? যদি অপরাধ হয়েই থাকে, তাহলে ছবিটি দেখে মুগ্ধ হওয়ায় আমারও বিচার হোক!’
বরিশালের আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বাদী হয়ে গত ৭ জুন তৎকালীন আগৈলঝাড়ার ইউএনও এবং বর্তমানে বরগুনার ইউএনও গাজী তারেক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। ওইদিন মামলা আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারির আদেশ দেন। ১৯ জুলাই হাজির হলে প্রথমে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও পরে তাকে জামিন দেন আদালত।
এদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজেহাল হওয়ায় ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
/সিএ/জেএইচ/