রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে ওআইসির সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ওআইসি মহাসচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ (ছবি- ফোকাস বাংলা)রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সহায়তা চেয়েছেন। ওআইসির সফররত মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওসাইমীন বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিন ও আল-আকসা মসজিদ সমস্যার সমাধানে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। দেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহর সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে সহায়তা করতে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত।’ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রপতি ওআইসি মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের প্রশংসা করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অন্যদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণে বিশ্বাস করে। এখানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনও স্থান নেই।’
ড. ইউসুফ বলেন, ‘মুসলিম বিশ্ব ভবিষ্যতে যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য ওআইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’ বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে চার দিনের সফরে ওআইসি মহাসচিব বুধবার রাতে ঢাকা পৌঁছান। এটি বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ (ছবি- ফোকাস বাংলা)এর আগে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম। রাষ্ট্রপতি সুইডেনে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করতে রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশও দেন তিনি। বাসস।

আর পড়ুন-

নানা ‘প্রটেকশন’ দিয়ে ৫৭ ধারা থাকছে!

‘কোনও আঙ্গিকেই ৫৭ ধারা থাকা উচিত না’

/টিআর/