একযুগেও খোলাসা হয়নি কেন্দ্রীয় কারাগারের গ্রেনেড রহস্যের

 পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার (ফাইল ফটো)একযুগ পার হলেও এখন পর্যন্ত  জানা যায়নি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার (পুরাতন) থেকে উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড রহস্যের। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ পর্যায়ে, খুব শিগগিরই এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার পরদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ ও ৯০ নম্বর সেলের মাঝামাঝি ড্রেনের পাশে মিন্টু নামে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী গ্রেনেডটি দেখতে পান। তিনি বিষয়টি কারারক্ষীদের জানান। এরপর সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল আর্জেস ৮৪ মডেলের গ্রেনেডটি উদ্ধার করেন।পরবর্তীতে সেটি চকবাজার থানায় জমা দেওয়া হয়।

গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মামলা না হলেও পরবর্তীতে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। ২১ আগস্টের অন্যান্য মামলার সঙ্গে এটিরও তদন্ত করছেন তারা। একযুগেও এর তদন্ত শেষ হয়নি।

সিআইডি ও কারা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,ওই ঘটনার পর তারা নিজেরাই তদন্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে তখন উল্লেখ করা হয়, গ্রেনেডটি বাইরে থেকে ছোড়া হয়েছিল। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় তৎকালীন ডেপুটি জেলার এনামুল কবির, সর্বপ্রধান কারারক্ষী আবদুল ওয়াহেদসহ আরও কয়েকজনকে। গ্রেনেড উদ্ধারের পরই আত্মগোপনে চলে যান কারারক্ষী সোহেল মণ্ডল। তার কক্ষ থেকে দুইলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার কারণে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়। তবে মামলার তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি)এর কয়েকজন সদস্য অংশ নিয়েছিল। হুজি নেতা মুফতিসহ শীর্ষ জঙ্গিদের ফাঁসি হয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) আব্দুল কাহার আকন্দ এ বিষয়ে বলেন,  ‘মামলাটি আমার তদন্ত করছি। তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। আমরা শিগগিরিই চার্জশিট দেবো।’

/এআরআর/এসটি/

আরও পড়ুন: 

‘সেদিন পুরো এলাকাটি ছিল মৃত্যুপুরী’

 

‘জেনে বুঝেই গ্রেনেড হামলা মামলার আলামত নষ্ট ও তদন্ত ভিন্ন পথে নেওয়া হয়’