ইতোমধ্যে নতুন আসা রোহিঙ্গারা নিজেরা কমিটিও করেছে। এই কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান ও ১০ জন সদস্য রয়েছেন। সদস্যরা চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করবেন। বালুখালী, পালংখালি, কুতুপালং ও ঘুমধুমে এ তালিকা করতে দেখা গেছে।
রাখাইন রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মো. আব্দুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তালিকা করা শুরু করেছি। যারা বিভিন্নভাবে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের নাম ও পরিবারের সদস্য সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।’
বালুখালী পাহাড়ে আব্দুল কালম নামের এক ব্যক্তিকে খাতায় তালিকা করতে দেখা গেছে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে যারা থাকছেন তাদের পরিবারপ্রধানের নাম লেখা হচ্ছে। পরিবারের কতজন সদস্য আছে সে সংখ্যাও লেখা হচ্ছে। ২০টি ঘর এককেটি গ্রাম বা ইউনিট ধরে এ গ্রামে একজন দায়িত্বে থাকবেন। গ্রামপ্রধান এ পরিবারগুলোর সমস্যার কথা বলবেন। তাছাড়া কতজন রোহিঙ্গা এ এলাকাতে আছেন তারও একটি ধারণা পাওয়া যাবে।’
কালাম বলেন, ‘বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাদের কাছে নাম চেয়েছে। সেজন্য এ তালিকা করা হচ্ছে।’
মৌলভী আরিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনাপাড়া নোম্যান ল্যান্ডে ১২ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন। ছয় হাজারের তালিকা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সবাইকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
মংডুর বলিবাজার এলাকা থেকে এসেছেন কৃষক আব্দুল হামিদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তারা পরিবারের ১২ জন পায়ে হেঁটে এসেছেন। তার স্ত্রীর নাম ফাতেমা। চার সন্তান ও নিজেরা দু’জন ছাড়াও ভাইবোন রয়েছেন। আমার ১২টি গরু ছিল। পাঁচ কানির মতো জমিতে আবাদ করেছিলাম। সব রেখে চলে এসেছি। এখন আমরা রাস্তায়, টাকা নেই, তাই কোনও ঘর তুলতে পারিনি।’
আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে: যুক্তরাষ্ট্র
চেহারা ও ভাষার মিল থাকায় চট্টগ্রামে মিশে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শতবর্ষী হাজমা খাতুনের মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা (ভিডিও)