রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে পাশে পাওয়ার আশা কাদেরের

ওকা-১মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পাশে পাওয়ার আশা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘৭১ সালের দুঃসময়ে ভারত আমাদের পাশে ছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও তারা আমাদের পাশে থাকবে বলে আমরা আশা করি।’

রবিবার সকালে রাজধানীর মানিকমিয়া এভিনিউয়ে বিটিআরসি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সারা বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  তাই এ মুহূর্তে ভারতকে আমাদের পাশে থাকা খুবই প্রয়োজন।’

ওকা-২তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক বিপর্যয়ে এ পর্যন্ত তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, আরও কত আসবে তা জানি না। তাই এ মানব স্রোতের ভার কিভাবে বহন করা যায় তা নিয়ে সবাইকে চিন্তা ভাবনা করা উচিত এবং সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘও সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব যখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে তখন শুধুমাত্র বিএনপিই খুশি হচ্ছে। কারণ তারা রাজনীতি করার নতুন ইস্যু পেয়েছে।’
ওকা-৪তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব যখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, তখন আমাদের এখানের একটি দলের টার্গেট সরকার। তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারকারী, সেখানকার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও পুড়িয়ে মারার বিষয়ে কোনও  কথা বলছে না। তাদের আক্রমণের নিশানা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার, মিয়ানমার সরকার না। তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকটে সারা দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন আর একটা দল বিএনপি খুশি। কারণ তারা রাজনীতি করার নতুন ইস্যু পেয়েছে।’

কাদের বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আজকে যে গাড়ি ধরছি সেটাই সমস্যা ধরা পড়ছে। কয়েকটা পেলাম যারা চুক্তিতে ভাড়া মারছে। আবার কিছু পেলাম যাদের মিটার নেই। এ বিষয়ে বিটিআরসি আরও তৎপর হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও প্রকার গাফিলতি সহ্য করা হবে না। কারণ এটা আমরা জনস্বার্থে চালু করেছি। বিটিআরসি যদি শৈতিল্য দেখায়, তাহলে কেউ নিয়ম মানবে না।’

ওকা-৩তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে যারা নিরাপত্তা চান, তাদের তো সড়কের আইন মেনে চলতে হবে। আপনি একতরফা নিরাপত্তা চাইবেন আর আইন মানবেন না তাহলে নিরাপত্তা দেবো কিভাবে? এ বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। আইন মেনে চলার মানসিকতা আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া দরকার। ঈদের আগে ঈদ আয়োজনে ব্যস্ত ছিলাম, এ কারণে রাস্তার নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করতে পারি নি। এখন থেকে করবো। অনতিবিলম্বে সড়ক নিরাপত্তার মিটিং ডাকবো। এসব নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’

ভ্রাম্যমাণ আদলতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সুজিদ হাওলাদার। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১২টি মামলা, তিনজন চালককে জেল, তিনটি গাড়ি ডাম্পিং ও নগদ ১৬ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন:  

রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখতে ২ হাজার একর জমি নির্ধারণ 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে পাশে পাওয়ার আশা কাদেরের

'এতদিন তো মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল, এখন তো রাস্তায় নামিয়ে দিলো’

রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখতে ২ হাজার একর জমি নির্ধারণ