দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্মিত সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাঙ্গা এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর রহমান এর আগে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বাংলাদেশকে ইন্টারনেট সেবায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যান্ডউইথ যাতে মানুষের মধ্যে সরবরাহ করা যায় সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মো. মশিউর রহমান জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ল্যান্ডিং স্টেশনের সংযোগের কাজ শেষ হয়।মার্চ মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০ জিবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরও  জানান, ২০০৬ সালে কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন স্থাপন করা হয়। এটি  ৩শ’ জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু ইতোমধ্যেই ২৫০-২৬০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হয়েছে। কুয়াকাটার দ্বিতীয় সাবমেরিন স্টেশনের ধারণ ক্ষমতা হলো এক হাজার ৫ শ’ জিবিপিএস। কক্সবাজারের চেয়ে এটি ৫ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। এই সাবমেরিন স্টেশনটি চালু হওয়ায় দেশে ইন্টারনেট ও ব্যান্ডউইথের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটবে। এর ফলে বাংলাদেশের টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আর বিদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে হবে না বলে সরকার আশা করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার দিয়ে আসা বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল দিয়ে পুরো বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না বলে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। আজ আমাদের সৌভাগ্য যে সেটা উদ্বোধন করতে পেরেছি।’ এ সময়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ উপস্থিত ছিলেন। আর কলাপাড়ায় ছিলেন শ্যাম সুন্দর সিকদার।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির তথ্য মতে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাইটভাঙ্গা গ্রামে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির ওপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি। প্রকল্পটির কাজ শেষ করার পর ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার পরীক্ষামূলক শুরু  হয়। সাগরের নিচ দিয়ে ইউরোপ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল লাইন বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কুয়াকাটার স্টেশন থেকে মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে তা সংযোগ স্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন- রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখতে ২ হাজার একর জমি নির্ধারণ