পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছে মুদ্রণ সমিতি

পাঠ্যপুস্তক উৎসব, ফাইল ছবিপাঠ্যবই ছাপা বন্ধ রেখে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে মুদ্রণ সমিতি।  ফলে আগামী বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। মুদ্রণ সমিতির অভিযোগ,জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার একমাস পর সিডি ও অনুষাঙ্গিক জিনিস সরবরাহ করেছে। ফলে তারা বই ছাপতে পারেনি। আবার এর দায়ও এনসিটিবি নিতেও চায় না। এর প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক ছাপা বন্ধ রেখেছে তারা।

ধর্মঘটের বিষয়ে মুদ্রণশিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘বইয়ের কাজ শুরু করতে না পারার দায় এনসিটিবির। মাধ্যমিকের কিছু বইয়ের ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার একমাস পরে সিডিসহ অন্যান্য অনুষঙ্গ দিয়েছে। এতে একমাস সময় নষ্ট হয়েছে। কিন্তু তারাই আবার সময় মতো বই দিতে হবে বলে চাপ দিচ্ছে। আমরা সময় বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। তারা তা মানতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘এনসিটিবি এবার শর্ত দিয়েছে বই তৈরি ও বাঁধাই হবে ভিন্ন ফরমেটে। শুধু তাই নয়,এবার বইয়ের বান্ডিলও ভিন্নভাবে করার নির্দেশনা দিয়েছে। এতে আমাদের সময় লাগবে দ্বিগুণ। কিন্তু তারা তা দিতে চায় না। এসব কারণে আমরা বারবার এনসিটিবিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছি। বলেছি, সময়ম তো বই দিতে না পারলে আমরা দায়ী থাকবো না। কিন্তু তারা এ কথায় কান দেননি।’

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘এনসিটিবি এবার নিম্মমানের কারখানাকে কাজ দিয়েছে। তারা এনসিটিবির শর্ত মেনে কাজ করে না। তাদের কাজের ব্যর্থতার দায় আমরা কেন নেবো? আমরা মোটামুটি নিশ্চিত সঠিক সময়ের মধ্যে আমরা বই দিতে পারবো না।’

এ বিষয়ে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুদ্রণ সমিতি অযৌক্তিক দাবি তুলে ধর্মঘট পালন করছে। তবুও তাদের দাবি বিবেচনায় এনে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। কারণ নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।’

আরও পড়ুন: বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে সংশয়