যান চলাচলের জন্য ২০১৮ সালেই খুলে দেওয়া হতে পারে পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু (ছবি: শরিয়তপুর প্রতিনিধি)

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য কর্মকর্তারা। শনিবার সেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর পর তারা এই তথ্য জানান।

পদ্মা সেতু কবে নাগাদ খুলে দেওয়া হতে পারে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্প্যান যখন একটা বসে গেছে এখন আর সময় লাগবে না। একটার পর একটা স্প্যান বসতে থাকবে। লক্ষ্য অনুযায়ী এই সেতুর কাজ শেষ হবে।’

জাজিরা পয়েন্টে ওবায়দুল কাদের (ছবি: শরিয়তপুর প্রতিনিধি)

 

সেতুমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে পদ্মাসেতুর অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ৫ ভাগ। মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৪৯ শতাংশ। মাওয়া পয়েন্টে সংযোগ সড়কের কাজ ১০০ ভাগ শেষ। জাজিরা পয়েন্টে সংযোগ সড়কের কাজ ৯৯ ভাগ সম্পন্ন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। শরীয়তপুরে জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর এই স্প্যান বসে। সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'অস্থায়ীভাবে অস্থায়ী বেয়ারিংয়ের ওপর এই স্প্যান বসানো হলো। পরে সুবিধাজনক কোনও এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের উদ্বোধন করবেন।'

পদ্মা সেতু (ছবি: শরিয়তপুর প্রতিনিধি)

 

এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রমত্তা পদ্মার প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। নদীর তলদেশে মাটির স্তরের গঠন নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে বর্ষায় নদীর প্রবল স্রোতকে উপেক্ষা করে এ নির্মাণযজ্ঞ চলছে। এসব প্রতিকূলতা জয় করে মূল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ চলছে পদ্মার দুই পাড়ে।’

আরও পড়ুন- 

শেখ হাসিনার একক নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে: সেতুমন্ত্রী

স্প্যান বসলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর

এক নজরে পদ্মা সেতু