বুধবার (১৮ অক্টোবর) রোহিঙ্গা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাডাম সু চি’র সম্মাননা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার নামে যে চেয়ার ছিল, সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এগুলোর কি কোনও দাম নাই, এগুলোর কি কোনও প্রভাব নাই? একজন মানুষ হিসেবে তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সু চি’র সঙ্গে আমারও কয়েকদফা দেখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যতগুলো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দু’জন অংশগ্রহণ করেছেন, প্রত্যেকবার দেখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আমি দেখা করেছি সু চি’র সঙ্গে। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব সেখানে গিয়েছিলেন বিশেষ দূত হিসেবে।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘(সু চি)অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ। সারাজীবন সংগ্রাম করে এসেছেন। এত ওপরে উঠে এসেছেন এবং তার তো কোনও অস্ত্র ছিল না। তার অস্ত্র হলো জনগণের সমর্থন এবং একটি মিলিটারি ডিক্টেটরের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম।’
রোহিঙ্গা বিষয়ে সু চি কথা বলছেন না, এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে একেবারেই বলছেন না, এটা ঠিক নয়। তিনি বলেছেন।’
সু চি’র বক্তব্যে কোনও কাজ হচ্ছে না, এমন মন্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাজতো একবারে হয় না। একটা মিলিটারি ডিক্টেটরশিপকে কিভাবে রাতারাতি পাল্টে দেওয়া যায়।’
বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমরাও তো এটার ভেতর দিয়ে পার হয়েছি এবং আন্দোলনের মধ্যেদিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। কাজেই জিনিসটা এত সহজ নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সু চি তার সর্বশেষ বক্তব্যে বলেছেন, যারা মিয়ানমার থেকে এসেছেন, তাদের উনি ফেরত নিতে চান। মিয়ানমার থেকে কারা এসেছেন, সেটি আমরা জানি। তাদের তিনি ফেরত নিতে চান। এটাতো খুবই ভালো কথা। আমরা তো এটাই চাই। এখন এই প্রক্রিয়াটি কিভাবে হবে সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’