বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় শুরু হয় হরতাল। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর পুরানা পল্টন, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, সূত্রাপুর, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর এলাকায় পিকেটিং চলে।
তবে শেষ আড়াই ঘণ্টায় হরতালের কর্মসূচি প্রেস ক্লাবকে ঘিরে সীমবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতা আবুল হাসান রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে পিকেটিং ছিল। আমাদের আজকের কর্মসূচি দেওয়ার সময় নেতাকর্মীদের বলা হয়েছিল পিকেটিং করে প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে চলে আসতে। সমাবেশের গুরুত্ব অনেক। হরতালকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মেসেজ এই সমাবেশ থেকেই দেওয়া হবে। তাই এখন প্রেস ক্লাবেই নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।’
আবুল হাসান রুবেল আরও বলেন, ‘পিকেটিং হচ্ছে হরতালের প্রচারণামূলক কার্যক্রম। আমরা জনগণের কাছে এটাই প্রচার করতে চাই, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। আমরা জোর করে মানুষকে হরতাল পালন করাবো না। পিকেটিং মানে ভয় দেখিয়ে মানুষকে বিরত রাখা না।’
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ভোর থেকে রাজধানীতে পিকেটিং করেছি। পরে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের জন্য নেতাকর্মীদের আসার কথা। এখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘রাজধানীতে ১০টি জায়গায় হরতালের পিকেটিং হয়েছে।।’
বাম দলগুলোর ডাকা হরতালে প্রেস ক্লাব এলাকা ছাড়া দেশব্যাপী যানচলাচল স্বাভাবিক আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর পল্টন থেকে প্রেস ক্লাবের দিকে আসতে রাস্তার একটি পাশ বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিএনপিতে স্বস্তির আড়ালে আতঙ্ক