শীতলপাটি বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদের অভিনন্দন

সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির বুনন পদ্ধতি ইউনেসকোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় যুক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ অভিনন্দন জানানো হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

প্রসঙ্গত,  বুধবার (৬ ডিসেম্বর)  জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি-বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে শীতলপাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে এদিন বিকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে খবরটি জানান বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকোর সচিব মঞ্জুর হোসেন।

শীতলপাটি বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন।মূলত বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে এই পাটি বোনা হয়। যারা বুননের এই কাজটি করেন তাদের পাটিয়াল হিসেবে ডাকা হয়। ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে সোমবার চলা আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটির বৈঠকে শীতলপাটির বুনন পদ্ধতিকে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ইউনেসকোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় বাংলাদেশের কারুশিল্প জামদানি এবং বাউল গানও স্থান পায়। গত বছরের নভেম্বরের শেষদিকে সংস্থাটির বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এছাড়াও ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বাগেরহাটের ‘ঐতিহাসিক মসজিদের শহর’, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের নাম রয়েছে।

ইউনেসকোর ওই তালিকায় শীতলপাটির পাশাপাশি বিশ্বের আরও আটটি ঐতিহ্যকে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ইউনেসকোর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ ইন নিড অব আর্জেন্ট সেফগার্ডিং তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৬টি ঐতিহ্য।