বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

 

বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাদেশের ৪৭ তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম। রবিবার রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  যোগ দেন।
রবিবার বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ লনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এই সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেওয়াসহ তাদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনাররা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সদস্যগণ, সিনিয়র আইনজীবী, তিন বাহিনীর প্রধান, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক নেতা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা।
এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩ জন সদস্যও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশের প্রখ্যাত শিল্পী রফিকুল ইসলাম, আবিদা সুলতানা ও হায়দার হোসেন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন এবং শিশু ও একটি আর্মি ব্যান্ড অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্রবাহিনী পাকিস্তানি হানার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এদিন বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতীয় ছুটির দিন।

দীর্ঘ নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। সূত্র: বাসস