শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৌনে চার লাখ সহকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা। শীতের রাত উপেক্ষা করেও পাঁচ শতাধিক শিক্ষক আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন।
এর আগে শনিবার সকালে শহীদ মিনারের সামনে সহকারী শিক্ষক মহাজোটের পক্ষ থেকে নেতারা এ হুমকি দেন। শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে একমত সাধারণ শিক্ষকরাও। তাদের কণ্ঠেও ছিল একই সুর।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এদিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে চাররঙা পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
পাঠ্যপুস্তক উৎসব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও এরইমধ্যে তা বর্জনের ঘোষণা এসেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর-আলম সিদ্দিকি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এই দাবি নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি। বিভিন্ন সময় আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই শনিবার থেকে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।’
পাঠ্যপুস্তক উৎসব বর্জনের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসন করা না হলে সামনে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে কোনও সহকারী শিক্ষক অংশগ্রহণ করবেন না। আমরা উৎসব বর্জন করবো।’
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থেকে আসা শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে গিয়েছি। সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবায়নে কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি। ফলে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।’ সরকার বৈষম্য নিরসন না করলে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে যাবো না।’
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর-আলম সিদ্দিকি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি যথার্থভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। কারণ, শিক্ষাবান্ধব সরকারপ্রধান এই সমস্যার বিষয়ে অবগত থাকলে অবশ্যই সমাধানের ব্যবস্থা করতেন।’
আরও পড়ুন:
মধ্যরাতেও মানুষ গড়ার কারিগররা খোলা আকাশের নিচে
আমরণ অনশনে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা