সমাবেশে বক্তরা বলেন, `বাড়ি ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি থেমে নেই, তাহলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ে না কেন? শ্রমিকদের মজুরিও বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের বেসিক বেতন ১০ হাজার আর মোট বেতন ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা করতে হবে।’
বক্তরা আরও বলেন, ‘কোনও দালাল দিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড গঠন করা যাবে না। প্রকৃত শ্রমিকদের দিয়ে মজুরি বোর্ড গঠন করতে হবে। তাহলে শ্রমিকরা শ্রমের ন্যায্য মজুরি পাবে।’
শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘দেশের রফতানি আয়ের শতকরা ৮২ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা গার্মেন্টস থেকে আসে। অথচ সেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের সর্বসাকুল্যে বেতন ৫ হাজার ৩০০ টাকা। এই বেতন দিয়ে জীবন চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। গত তিন বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের বর্তমান মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন অনেক কম। এ অবস্থায় পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থানের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি তাসলিমা আখতার, দিপক রায়, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জাহেদুল হক মিলু, আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।