তিনি বলেন, জঙ্গিদের লাশ সরানোর পর কক্ষটির ভেতরে ঢুকে দেখা গেছে একটি চৌকির ওপর কাপড়-চোপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র স্তূপ করে রাখা রয়েছে। মেঝেতে পড়ে আছে দুটি পিস্তল, ৪৪টি গুলির খোসা,সাদাকালো রঙের তিনটি স্কার্ফ। এছাড়া ওই ফ্ল্যাট থেকে তিনটা জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি), তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, ১৪টা ডেটোনেটর, চারটি পাওয়ার জেল উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, বাড়ির মালিক শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন বিমানের স্টুয়ার্ট। অভিযানের সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন।
এর আগে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজির আহমেদ জানান, নাখালপাড়ার ওই বাড়ির ভেতর তিন জঙ্গি আত্মঘাতী হয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তারা ওই বাড়িটি ভাড়া নেয়। বাড়িওয়ালা সাব্বির হোসেন জানেনই না তার বাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া উঠেছে। তিনি তার বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার জন্য রুবেল নামে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। রুবেলই মেস ভাড়া দিয়ে থাকে।
‘রুবি ভিলা' নামের ওই বাড়িতে এ নিয়ে মোট চার বার অভিযান চালানো হলো। র্যাব ও পুলিশ এর আগে আরও তিনবার অভিযান চালিয়েছিল। ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সেখানে অভিযান চালানো হয়। আর বৃহস্পতিবার রাতের অভিযান নিয়ে মোট চার বার অভিযান চালানো হলো সেখানে। আগের অভিযানগুলোয় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
নাখালপাড়ার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ