শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)কে বলা হবে। তাদের সঙ্গে আলাপ করেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ফেসবুক বন্ধ করার জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা সীমিত সময়ের জন্য, এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, দু-এক ঘণ্টায় কিছু হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমরা ডেসপারেট ও এগ্রেসিভ।’
সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ থাকবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পরীক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ থাকবে।’
পরীক্ষার আগেও প্রশ্নফাঁস হয় তাহলে পরীক্ষা শুরুর আগে ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে, যে সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি ঘটতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা। এর আধা ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৯টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষার্থীকে নিজ আসনে বসতে হবে। এর পরে কেউ এলে পরীক্ষাকেন্দ্রে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে তা বণ্টন করতে হবে। এর এক মিনিট আগেও প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা যাবে না। কেউ খুলে ফেললে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের প্যাকেট কেউ আগে খুলে ফেলছে কিনা তা তদারকি করতে নির্ধারিত একটি টিম থাকবে। এই টিম কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে। কোথাও প্রশ্নপত্র আগে খোলা হলে ওই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টার জড়িত উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্নপত্র ফাঁসের আড্ডাখানা। এজন্য পরীক্ষার তিন দিন আগে থেকে পরীক্ষার চলাকলীন সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: