জুবায়ের হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায়েও ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

জুবায়ের আহমেদজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর দেওয়া রায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন  হাইকোর্ট। বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান এবং মাহবুব আকরাম।

এছাড়া, ট্রাইব্যুনালের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জন ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও নাজমুস সাকিব তপুর সাজাও বহাল রেখেছেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি।

বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে জুবায়ের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর রায় পড়া শুরু করেন বিচারকরা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল।

এর আগে, ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের হত্যা মামলার রায়ে ৫ জনকে ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। আর ১৩ আসামির মধ্যে বাকি ২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।  তাদেরকে কারাদণ্ডের অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয় নাজমুল হুসেইন প্লাবন ও মাহমুদুল হাসান মাসুদকে। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই জাবির বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন কারাগারে আছেন। বাকি ৬ জন পলাতক।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকালে জুবায়ের আহমেদ অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন রাতেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে মারা যান জুবায়ের।

জুবায়ের হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।