লন্ডনে তারেক রহমানের আয়ের উৎস জুয়া খেলা: হাছান মাহমুদ

প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ (ছবি: ফোকাস বাংলা)আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে যে ট্যাক্স ফাইল করেন সেখানে আয়ের উৎস উল্লেখ করেন জুয়া খেলা।’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে  রবিবার ( ৪ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘আগে মানুষ তাকে হাওয়া ভবনের চোর বলতো, এখন বলে আন্তঃমহাদেশীয় চোর। এই আন্তঃমহাদেশীয় চোর বলার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, ট্যাক্স ফাইলে তিনি উল্লেখ করেছেন জুয়া খেলে তিনি অর্থ উপার্জন করেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “তিনি জলহস্তির চেয়ে বড় কার্যনির্বাহী সদস্যদের সভা করলেন পাঁচ তারকা হোটেলে। তারা নাকি ঢাকায় আর কোথাও জায়গা পাননি। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তন খালি ছিল। সেখানেও করতে পারতেন। তিনি করেন নাই, কারণ এইসব জায়গায় তিনি যেতে পারেন না। তবে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) গতকাল একটি মূল্যবান কথা বলেছেন-সবার উপরে আল্লাহ আছে। ইতিহাসের ঘৃণিত হত্যাকাণ্ড যেদিন হয়েছিল, ছোট নিষ্পাপ শিশুকে যেদিন হত্যা করা হয়েছিল, যেদিন হত্যার তালিকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীও বাদ যায়নি, সেই ১৫ আগস্ট উপহাস করার জন্য তিনি জন্মদিনের কেক কাটেন। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার বাসার দরজা থেকে ফেরত এসেছিলেন, আপনি ঢুকতে দেননি। আপনার নির্দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে, কোরান শরীফ পর্যন্ত পোড়ানো হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন ওপরে আল্লাহ আছেন, তিনি দেখবেন। দেশের আইনে বিচার হবে, আল্লাহর আইনেও বিচার হবে।’

খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তাহলো মৃত্যুর আগে গোঙানি। এটা তাদের পতনের আগের গোঙানি। তিনি ছয়টি শর্ত দিয়েছেন নির্বাচনের। আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কারও সুবিধার্থে সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটানো হবে না। পৃথিবীর সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই এদেশেও হবে। জনগণ অবাধে যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয় তাহলে জনগণের কাছ থেকে চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন তারা।’