একদিকে খাল উদ্ধার করছি, অন্যদিকে দখল হচ্ছে: নৌমন্ত্রী

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান (ফাইল ফটো)

রাজধানীর আশপাশের খালগুলো একদিকে উদ্ধার করা হলেও অন্যদিকে আবার দখল হয়ে যায় বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর চারপাশের ১৩টি খাল উদ্ধারের চেষ্টা করছি। একদিকে খাল উদ্ধার করছি, অন্যদিকে দখল হচ্ছে। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’

রবিবার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৬তম সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদীর জেলা প্রশাসকরা।

সভাশেষে নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নদীর সীমানা রক্ষায় জরিপ কাজ চলছে। জরিপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীর আশপাশে কোনও ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। নদীর সীমানা রক্ষায় এক হাজার ১৩৬টি সীমানা পিলার বসানোর কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ৬ শতাধিক পিলার বসানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আইন অমান্য করে নদী দখল করবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সীমানা পিলার বসানোর পর তা যেন দখল না হয় সেটা মনিটরিং করতে জনবল বাড়ানো হবে। নদীর পাড়ে যেন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠে সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হবে। বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বর্জ্য অপসারণে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) চালু না রাখে তবে তাদের জেল জরিমানা হবে।’

শাজাহান খান বলেন, ‘সাভারের চামড়া নগরীতে সিইটিপি নিয়ে যে সমস্যা আছে তা সমাধানে শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে।’

পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সুবাড্ডা খালের অবস্থা খারাপ। সভায় নৌমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুবাড্ডা খাল সংস্কারের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই সুবাড্ডা খাল আধুনিকায়ন করতে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প দাঁড় করানো হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নকালে খালের ওপর নির্মিত মসজিদ সংস্কার করা হবে এবং জেলা পরিষদ মার্কেট ভেঙে ফেলা হবে।’