মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ডিএসসিসির অঞ্চল-৪-এর কাজী আলাউদ্দিন রোডের ড্রেনে ১০ হাজার গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করেন ডিএসসিসি’র মেয়র সাঈদ খোকন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব মাছ অবমুক্ত করা হয়। মেয়র জানিয়েছেন, কিউলেক্স মশা নিধনের জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
প্রথম দফায় কাজী আলাউদ্দিন রোডের ড্রেনে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করার পর সাঈদ খোকন বলেন, ‘১০ হাজার গাপ্পি মাছ ডিএসসিসি’র অঞ্চল-৪-এর নালা-নর্দমা-ড্রেনে অবমুক্ত করে এর ফল পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইতিবাচক ফল মিললে করপোরেশনের অধীন সব এলাকাতেই এই কার্যক্রম চালানো হবে।’ তবে এই প্রকল্প শুধু কিউলেক্স মশার জন্য, এডিস মশার জন্য নয় বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বাসাবাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেলে জেল-জরিমানার কথা জানিয়েছিলেন ডিএসসিসি’র মেয়র। করপোরেশনের সেই অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিযানে কোনও নাগরিককে হয়রানি করা হবে না। সব হোল্ডিংয়ে অভিযান চলবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত বাসাগুলোয় অভিযান চালানো হবে।’
কোন প্রক্রিয়ায় এডিস মশার জীবাণু শনাক্ত করার জন্য বাড়িতে অভিযান চালানো হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে এডিস মশার উৎপত্তিস্থলে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। মূলত বাসাবাড়ির বদ্ধ, স্বচ্ছ পানিতে এই মশার বংশবিস্তার করে। এ জন্য বাসাবাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকে নেতিবাচকভাবে না দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা সচেতনতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি চালু করেছি। বাড়ির মালিকদের মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।’ মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে নগরবাসীকে নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
গাপ্পি মাছ অবমুক্তির অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলালসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা
লর্ড কারলাইল ও তার আইনি প্রতিষ্ঠান এসসি স্ট্র্যাটেজির আদ্যোপান্ত