রিটার্নিং অফিসারের হাতে সব ক্ষমতা দিতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন

সুজনের আলোচনাসভায় সাখাওয়াত হোসেনসাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন নির্বানের সময় রিটার্নিং অফিসারের কাছে সব ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার ( ২৩ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এই দাবি জানান। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিজের অফিসারকে রিটার্নিং অফিসার বানিয়েছে, এটা খুব ভালো লক্ষণ। কিন্তু এই রিটার্নিং অফিসারের কাছে সব ক্ষমতা থাকতে হবে। ক্ষমতা কিছুটা জেলা প্রশাসক, কিছুটা কমিশনের কাছে থাকলে আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা কমিশনের আছে। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন নিয়ে সংশয় আছে তাহলে সে বাতিল করতে পারে। অভিযোগ হলো পত্রিকায় টেলিভিশনে অভিযোগ আসলেও কমিশন বলে ‘কই আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসে নাই’। সংবাদ মাধ্যম নির্বাচন কমিশনের একটি সোর্স। মিডিয়া অনেক শক্তিশালী একটি সহযোগী নির্বাচন কমিশনের জন্য। সেখানে যদি বলা হয়, আমাকে কোনও কমপ্লেইন করা হয়নি- তাহলে আপনাকে কী ক্ষমতা দেওয়া হলো? সেই ক্ষমতা আপনাদের দেখা উচিত। আমাদের কাছে কেউ কমপ্লেইন নিয়ে আসবে এ জন্য আমরা বসে থাকিনি। পরের দিন খবরের কাগজে দেখেছি, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। চেষ্টা করেছি তদন্ত করার।”

তদন্ত রিপোর্ট অভিযোগকারীকে সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় বাস্তবায়ন করার জন্য কোনও আইন সংশোধনের প্রয়োজন নাই। কেন মানুষ বিমুখ হয় নির্বাচন থেকে? একের পর এক নির্বাচনে যদি একটি মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ না পায় তাহলে সে অবশ্যই নির্বাচন বিমুখ হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে তাই হয়েছে। এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক মনে করে ভোট দিলেও কিছু হবে না, না দিলেও কিছু হবে না। রাস্তায় নামলে বলে- স্যার ভোটটা কি দিতে পারবো নাকি?  এই অবস্থা তো বাংলাদেশে ছিল না। কারচুপি শুধু বাংলাদেশে না, বহু জায়গায় আছে। দুনিয়ার সব জায়গায় হয়। যদি জনগণ মনে করে তারা ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবে এবং ভোট কেন্দ্রে যাবে, আর দু-চার জায়গায় তা বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে কারচুপি করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস।’

আরও পড়ুন- নির্বাচনকালীন প্রশাসনের ওপর ইসি’র বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন: সুজন