নেপালে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের দেরিতে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ





সংসদীয় কমিটির বৈঠকনেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে ধীর গতিতে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশের স্বার্থে দরকার হলে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) দারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বিগত বৈঠকের ধারাবাহিকতায় কমিটি বৈঠকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বলেছে, দ্রুত প্রতিবেদন না পেলে তো মানুষ বিষয়টি ভুলে যাবে। পরে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নেপাল সিভিল এভিয়েশনের কাজ উল্লেখ করে তাদের করণীয় নেই বলে জানিয়েছে। তারা বার বার নেপালকে তাগাদা দিচ্ছে বলেও বৈঠককে অবহিত করে। পরে কমিটির পক্ষ থেকে বেশি দেরি হলে আইসিএও-এর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কমিটিতে বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্ট না পাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। নেপাল রিপোর্ট দিতে দেরি করলে দরকার হলে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে বৈঠকে চট্রগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের ধীর গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পরে বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং সাবিহা নাহার বেগমকে সদস্য করে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সিট ফাঁকা থাকার কারণ অনুসন্ধানে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন ২০১৮ সালের হজে যাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে পরিবহনের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে বিমানের টিকেট বিক্রয় ও ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে সপ্তাহে ২-৩ দিন ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করেছে।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, তানভীর ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান ও সাবিহা নাহার বেগম অংশগ্রহণ করেন।