সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-সৌদি আরবসৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য সৌদি আরব প্রস্তাবিত সামরিক কাঠামো চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষিও চলছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যে এটি স্বাক্ষরিত হবে। এ প্রসঙ্গে সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই দেশই চায় সামরিক সম্পর্ক বাড়াতে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধে জড়াবে না।’

সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ কোনও যুদ্ধে জড়াবে না। ঢাকা ও কুয়েতের মধ্যে সামরিক চুক্তিতের মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটি।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা ও কুয়েত ১৯৯৭ সালে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর অধীনে বর্তমানে বাংলাদেশের ছয় হাজার  সেন সদস্য কুয়েতে কর্মরত আছেন।

এদিকে, সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা মূলত সামরিক স্থাপনা তৈরি ও লজিস্টিক কাজে সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশ ঠিক এই ধরনের সামরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায় সৌদি আরবের কাছে।’

গত দুই বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন বার সৌদি আরব সফর করেছেন। গত এপ্রিলে তার শেষ সফরটি ছিল দাম্মামে অনুষ্ঠিত একটি সামরিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী গত নভেম্বরে রিয়াদ সফর করেন। এছাড়া সেনা প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধানও  এ বছর সৌদি আরব সফর করেছেন।

সরকারের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সৌদি আরবের সামরিক বাজেট অনেক বড়। তারা বাংলাদেশের মতো সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায়। রিয়াদ ও ইসলামাবাদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।’ অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল বলেও তিনি মনে করেন।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি গাল্ফ শিল্ড-১ নামে একটি সামরিক মহড়ায়ও বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে।