জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এসময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের এবং পঁচাত্তরে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ জামাতে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি, কূটনীতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। আজ শনিবার (১৬ জুন) পালিত হচ্ছে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
প্রধান ঈদ জামাতের ইমামতি করছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের শামিয়ানার ভেতরে ৮৫ হাজার পুরুষ ও পাঁচ হাজার নারী নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আর ঈদগাহের নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নজরদারি। মুসল্লিদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করানো হয়।
জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাতকে ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় ঈদগাহের পুরোএলাকা সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় রয়েছে। ঈদগাহের নিরাপত্তায় সোয়াত,বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডও রয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে এসেছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। লাইন ধরে নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করেছেন শত শত নারী-পুরুষ।
ইসলামি পরিভাষায় ঈদের এর অর্থ হলো পুরস্কারের দিবস। দীর্ঘ একমাস সংযম পালনের পর মুসলমানরা এ দিনে আনন্দ করেন। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী রমজান শেষ হলেই শুরু হয় শাওয়াল। উৎসব হিসেবে ঈদুল ফিতর পালন করা হয় এ মাসের প্রথম দিনে।
ছবি- সাজ্জাদ হোসেন
আরও পড়ুন:
ঈদগাহের পথে মুসল্লির
ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে
এলো খুশির ঈদ