আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনও প্রার্থীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ না করার নির্দেশ ইসির

নির্বাচন কমিশন

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনি প্রচারকালে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার না করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) ইসির সঙ্গে বৈঠককালে তারা এ আপত্তি জানায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ আপত্তির মুখে ইসি পিছু হটে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসরণ ও নির্বাচনে কাউকে হয়রানি ও কোনও প্রার্থীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা না নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি, আটকের পর পুরানো মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার না দেখাতেও বলা হয়েছে।

তিন সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্য চার কমিশনার, দেশের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং তিন রিটানিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। বৈঠকের কার্যপত্রে নিরপরাধী বা ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়।

সূত্র জানায়, বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে তিনি সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে বলে ইসিকে জানানো হয়েছে। তবে তাদের আশঙ্কা, বরিশাল সিটিতে সহিংসতা ও রাজশাহী সিটির মতিহার থানা এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা দেখা দিতে পারে। এ থানার পাশে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, নির্বাচনি এলাকায় টাকার খেলা চলছে উল্লেখ করে তা নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে তিন সিটির কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মকাণ্ডের উপর দৃষ্টি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘সিটিগুলোতে নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। সেখানে কোনও ধরনের ঝুঁকি বা আশঙ্কার বিষয় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেই নির্দেশনা ইসির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথাও ইসি শুনেছে। সবার আশা, সুষ্ঠুভাবে এই তিন সিটির নির্বাচন করা সম্ভব হবে। বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হবে না।’