বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরত আনতে আইনি লড়াই শুরু





বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য আইনি লড়াই শুরু করেছে সরকার। গত সপ্তাহে কানাডার ফেডারেল কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কানাডার সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি তাকে (নূর চৌধুরী) ফেরত দেওয়ার জন্য, কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। এ জন্য আমরা কোর্টের মাধ্যমে এর মীমাংসা করতে চাইছি।’
২০০৪ সালে কানাডার একটি কোর্ট নূর চৌধুরীর শরণার্থী সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করে তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৭ সালে নিম্ন আদালতের ওই আদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে বিপদ অনুভব করে নূর চৌধুরী কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ‘প্রিরিমোভাল অ্যাসেসমেন্ট রিস্ক’ আবেদন করে।
আবেদনে নূর চৌধুরী উল্লেখ করে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তার ফাঁসি হবে এবং সে কারণে তাকে কানাডায় থাকতে দেওয়ার অনুরোধ জানায় সে। কিন্তু গত নয় বছর ধরে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস।
সরকারের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চাই কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি ঝুলিয়ে না রেখে একটি সিদ্ধান্ত নিক। কোর্টের কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন,‘যদি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস নূর চৌধুরীর প্রিরিমোভাল অ্যাসেসমেন্ট রিস্ক আবেদন খারিজ করে দেয়, তবে তার ফেরত আসার পথে কোনও বাধা থাকবে না।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আবার যদি নূর চৌধুরীর আবেদন গ্রহণ করা হয়, তবে তাকে সেখানে স্ট্যাটাস দেওয়া হবে এবং আমরা তখন নূর চৌধুরী একজন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এই কারণ দেখিয়ে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য মামলা করবো।’
বঙ্গবন্ধুর অন্য খুনিরা কোথায়
গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সংসদে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে। তাকে ফেরত আনার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আব্দুর রশিদ পাকিস্তানে আছে এবং শরিফুল হক ডালিম লিবিয়া অথবা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করছে।
বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ জার্মানিতে আছে কিনা, এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই।
এছাড়া আব্দুল মাজেদের কোনও অবস্থানের কথা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।