পার্বত্য তিন জেলার আরও ১০ উপজেলায় ভূমি অফিস হচ্ছে

তিন পার্বত্য জেলাবান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য এই তিন জেলার আরও ১০টি উপজেলায় ভূমি অফিস স্থাপন করছে সরকার। বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, আলীকদম ও নাইক্ষ্যাংছড়ি; রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই ও কাউখালী এবং খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় ভূমি অফিস স্থাপন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তর্গত তিনটি জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা ২৬টি। এর মধ্যে বান্দরবানের ৭টি উপজেলার ২টিতে, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলার ৬টিতে ও রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলার দুটিতে এতদিন ভূমি অফিস ছিল। ফলে এই তিন জেলার বাকি ১৬টি উপজেলায় ভূমি অফিস না থাকায় সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় ও দ্রুত জনসেবা নিশ্চিত করা বেশ কষ্টকর ছিল। এই সমস্যা নিরসনে পার্বত্য তিন জেলার আরও ১০ উপজেলায় ভূমি অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।  এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। 

IMG_20180917_225317

রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তাতে অনুমোদন দেয় কমিটি।

ভূমি মন্ত্রণালয় পার্বত্য তিন জেলার এই ১০টি উপজেলায় ভূমি অফিস স্থাপনে ১০০টি পদ সৃজনের প্রস্তাব দিয়েছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে এর মধ্যে  ৯০টি পদ সৃজনের অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব এন এম জিয়াউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ’১০ উপজেলায় ভূমি অফিস স্থাপনের ৯০টি পদ সৃজনের প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ১০ উপজেলায় ভূমি অফিস স্থাপনের জনবল কাঠামো অনুমোদন দেয়। আর্থিক সংশ্লেষ থাকায় এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় ভূমি মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর প্রস্তাব পাঠানো হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে বান্দরবানের সদর উপজেলা ও লামায়, রাঙ্গামাটির সদর উপজেলা ও লংগদু উপজেলায় এবং খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলায় ভূমি অফিস রয়েছে।