সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চ্যানেল আইয়ের এমডি ফরিদুর রেজা সাগরসহ ছয় আরোহীকে নিয়ে ইমপ্রেসের হেলিকপ্টার আছড়ে পড়ে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে। ইউরোকপ্টার ইসি-১৩০ মডেলের হেলিকপ্টারটিতে ৬ জন যাত্রী ধারণে সক্ষম। এ হেলিক্প্টারের (এস-২ এএইচডাব্লিউ) মালিক ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেডের হলেও তাদের হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য এওসি (এয়ারক্রাফট অপারেশন সার্টিফিকেট) নেই। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে এওসি প্রাপ্ত অ্যারো টেকনোলজি লিমিটেডের অধীনে ফ্লাইট পরিচালনা করে ইমপ্রেস এভিয়েশন। যদিও ইমপ্রেস এভিয়েশনের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘সিভিল এভিয়েশন অথরিটি সিসটেম রিফর্ম প্রোগ্রাম’ প্রকল্পের আওতায় ইসপ্রেস এভিয়েশনকে অপারেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনই দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে কারণ জানা যাবে।’
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইমপ্রেসের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটির পাইলট সাইদ শাকিল আলী। তিনি বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মাটিতে নামতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলিকপ্টারটি হেলিপ্যাড থেকে উড়ে ১৫-২০ গজ যাওয়ার পরপরই একটি শব্দ শুনতে পান তারা। এরপরই হেলিকপ্টারটি ওই স্থানে আছড়ে পড়ে।
হেলিকপ্টারটিতে আরোহী হিসেবে ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রেজা সাগর, সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ফারজানা ব্রাউনিয়া, রফিকুল ইসলাম, সুমন আলী ও তুফান আলী।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার লালবাগ হেলিপ্যাড থেকে ঢাকায় ফেরার সময় স্থানীয় গফুর মণ্ডলের বাড়ির সামনে হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।