সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশি, রিয়াদের গভর্নর ফয়সাল বিন বন্দর আল সউদ এবং দূতাবাস কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার তাঁর স্যুটে কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার (সিএসসি) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন সৌদি রাজ প্রাসাদে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। পরে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন তিনি।
সৌদি যুবরাজ ও উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পরে তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যায় বিমানযোগে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ত্যাগ করবেন এবং মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মোহম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা পৌঁছাবেন এবং সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
শেখ হাসিনা এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এগুলো হলো- প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং আইসিটি খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি বাদশাহর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনা হবে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিষয়গুলো ছাড়াও শ্রমিক কল্যাণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য ও সমৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হবে।
সূত্র: বাসস